পাবনায় চাঞ্চল্যকর বিল্লাল মিশরী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এ দায়ের করা মামলার প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও নিহত বিল্লাল মিশরীর চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বিল্লাল মিশরী (৩৫) গত ২৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁর নিজ গ্রামের বাড়ি আতাইকুলা থানাধীন চরপাড়া আসার জন্য তাঁর নিজের মোটরসাইকেলে করে পাবনার ভাড়া বাসা থেকে রওনা হন। ওই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে আতাইকুলা থানাধীন চরপাড়া গ্রামের শহিদুল্লাহর চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিল্লাল মিশরীকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যার পর আসামিরা বিল্লাল মিশরীর মৃতদেহ গুম করতে এবং এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে সর্বহারার স্লোগান দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বারোপাকিয়া সেতুর দক্ষিণ-পশ্চিমে পাটের জমিতে ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় ২৮ জুন আতাইকুলা থানায় মামলা হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, বিপিএমের দিকনির্দেশনায় ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. মাসুদ আলমের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রোকনুজ্জামান সরকার, আতাইকুলা থানার ওসি মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, এসআই অসিত কুমার বসাক, এসআই শফিউল আলমসহ জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস দল ১২ অক্টোবর রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিল্লাল মিশরী হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি চরমপন্থী নেতা মো. আবুলকে গ্রেপ্তার করে। আবুল পাবনা সদরের হলুদবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে।
পরে আবুলের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র বিল্লালের মোটরসাইকেল জব্দ ও সুমন আলী নামের আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সর্বহারা নেতা আবুল হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।