পাবনায় জাহাঙ্গীর আলম (৬০) ও রইচ উদ্দিন (৬০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার করেছে এই দুই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতকজনকে। ওই সাতজন ইজিবাইক চোর চক্রের সদস্য।
পাবনা সদর থানার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুরে গত ৩ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে ইজিবাইকচালক ও মালিক জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করা হয়। আর রইচ উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করা হয় পাবনা সদর থানার মনোহরপুর মসজিদের সামনে পাকা রাস্তা থেকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। তিনিও একটি ইজিবাইকের মালিক।
এই দুই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সাতজন হলেন মো. সুমন শেখ (৩০), মো. বাচ্চু মিয়া (৪৫), মো. বজলুর রহমান (২৪), মো. হাসান আলী (২৫), মো. শামীম মিয়া (২৫), মো. শরিফুল ইসলাম (২৬) ও মো. রফিকুল ইসলাম (২৪)।
জেলা পুলিশ জানায়, গত ৩ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধারের পর ৭ ডিসেম্বর পাবনা সদর থানায় মামলা হয়। তাঁকে হত্যা করে তাঁর ইজিবাইকটি চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল দুর্বৃত্তরা। এদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারি রইচের লাশ উদ্ধারের পর একই থানায় ওই দিনই মামলা হয়। তাঁর ইজিবাইকটিও চুরি করে দুর্বৃত্তরা। দুজনকেই চেতনানাশক সেবন করিয়ে হত্যা করা হয়।
মামলা হওয়ার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ও সদর থানা-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে হত্যাকান্ড ও ইজিবাইক চুরির মাস্টারমাইন্ড মো. সুমন শেখকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ ও নাটোরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া ইজিবাইক দুটিসহ ১২টি ইজিবাইকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে নগদ ৩৪ হাজার টাকা এবং হত্যাকাণ্ড ও চুরির কাজে ব্যবহৃত সাতটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।