পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ট্রাফিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ট্রাফিক নির্দেশনাসমূহ হলো:
১. ঢাকা মহানগরীতে দূরপাল্লার ও আন্তজেলা বাস টার্মিনালের বাইরে কোনো বাসই সড়কে বাস রেখে বা থামিয়ে যাত্রী ওঠাবে না। যাত্রীরা টার্মিনালের ভেতরে থাকা অবস্থায় বাসের আসন গ্রহণ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
২. ঢাকা মহানগরীতে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল-সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে দাঁড়াবে না।
৩. ঢাকা মহানগরী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালপত্র বহন থেকে নিবৃত্ত থাকতে হবে।
8. আন্তজেলা পরিবহনের যাত্রী বা গমনপ্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভেতরে অবস্থান করার জন্য আহ্বান করা হলো।
৫. ঢাকা মহানগরী থেকে দূরপাল্লার ফিটনেসবিহীন ও রুট পারমিটবিহীন বা অননুমোদিত রুটে কোনো বাস চলাচল করবে না। বাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই এ বিষয়ে কঠোরভাবে মেনে চলবেন এবং কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবেন।
৬. বাসের ভেতর যাত্রীদের অপরিচিত কারও কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
৭. সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট বহন করবেন।
৮. আন্তজেলা ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন যেমন বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, তেজগাঁও, কমলাপুর ইত্যাদি স্টেশনে এবং স্টেশন থেকে যাত্রীসাধারণ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সে বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট থাকবে।
৯. ঈদ উপলক্ষে লঞ্চ টার্মিনালকেন্দ্রিক যেন কোনো যানজট সৃষ্টি না হয়, সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
১০. যাত্রীদের মালপত্র নিজ হেফাজতে সাবধানে রাখবেন।
১১. কোনো যানবাহনই ছাদের ওপর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না।
১২. যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসচালকেরা এমন কোনো অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না; যেন সড়কের শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটে এবং জীবনহানির শঙ্কা থাকে।
১৩. টার্মিনালভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে।
১৪. মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীরা যেন সর্বদা হেলমেট পরিধান করে এবং গতিসীমা মেনে চলাচল করে, সে বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশ নিশ্চিত করবে।
১৫. অনেক সময় টার্মিনাল বা আশপাশের ফাঁকা জায়গায় খালি ট্রাক/পিকআপে যত্রতত্র যাত্রী উঠিয়ে দূরপাল্লার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার প্রয়াস চালায়। ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে অতীতেও সোচ্চার ছিল এবং সব সময় থাকবে।
১৬. ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত লাভের আশায় ইন্টারসিটি গণপরিবহনগুলো রুট পারমিটবিহীন/অনুমোদনবিহীন যেন ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে যত্রতত্র না চলে, সে বিষয়ে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মালিক/শ্রমিক প্রতিনিধির সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা অব্যাহত আছে।
১৭. পবিত্র ঈদুল আজহায় ঢাকা মহানগরী থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে ঢাকা মহানগরীতে নিয়মিত জনসাধারণের আসা-যাওয়া চলমান থাকে। এ জন্য মহানগরীর এন্ট্রি/এক্সিটে যেন কোনো যানজট তৈরি না হয়, সে লক্ষ্যে এরূপ প্রতিটি পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের শক্ত কো-অর্ডিনেশন থাকবে।
১৮. পশুবাহী গাড়িসমূহ অবশ্যই সিটি করপোরেশন কর্তৃক অনুমোদিত হাটের ভেতর লোড-আনলোড করতে হবে। কোনোভাবেই হাটের বাইরে অথবা রাস্তায় লোড-আনলোড করা যাবে না।
১৯. গরুর হাটকেন্দ্রিক সুষ্ঠু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন, হাট ইজারাদার, পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হবে।
২০. কোরবানির পশুবাহী যানবাহনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হয়।
২১. বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটকেন্দ্রিক সার্ভিল্যান্স টিম গঠন থাকবে।
২২. ঈদুল আজহার ৭ দিন আগে থেকে গরুর হাটকেন্দ্রিক সার্বক্ষণিক ফোর্স মোতায়েন করা হবে এবং প্রয়োজনে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা এবং যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ জনসাধারণের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে। সূত্র: ডিএমপি