মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ-উৎসবে অংশ নিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালির আয়োজন করেছে।
আজ শনিবার (২৫ জুন) সকালে ডিএমপির সুসজ্জিত ব্যান্ড দলের সুমধুর ছন্দে এই আনন্দ র্যালি ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণির ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে শুরু হয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে গিয়ে শেষ হয়। খবর ডিএমপি নিউজের।
বর্ণাঢ্য এ পদযাত্রা শেষে রাজারবাগ অডিটরিয়ামে উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তি, কমিউনিটি পুলিশের সদস্য, সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার) বলেন, আজকের দিনটি ১৮ কোটি বাঙালির জীবনে স্মরণকালের আনন্দের দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হয়েছে। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে পরিচিত হচ্ছে। পুরো জাতির আনন্দের সাথে আমরাও এ আয়োজনের মাধ্যমে অংশীদার হয়েছি। এ অর্জনের কারণে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে যাবে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি উপভোগ করার পর ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) কৃষ্ণ পদ রায় বিপিএম (বার) পিপিএম (বার) বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে রাজারবাগের এই পবিত্র ভূমি থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ বুলেট ছুড়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সে পবিত্র ভূমি থেকে আমরা আজ আরেক ঐতিহাসিক গৌরবোজ্জ্বল স্বপ্ন জয়ের সাক্ষী হলাম।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নামকরণ করা না হলেও তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ও নেতৃত্বে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হওয়ায় তাঁর নাম প্রজন্মের পর প্রজন্ম মনে রাখবে।
ডিএমপির সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল ও মোটরকেডের সমন্বয়ে ডিএমপির ৫০টি থানার কমিউনিটি পুলিশের নেতৃবৃন্দ বর্ণাঢ্য এ আনন্দ র্যালিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের উপস্থিতিতে রংবেরঙের বেলুন ওড়ানোর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।