পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়কালে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন প্ৰবেশমুখ থেকে ২৫ চাদাঁবাজকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা চাঁদাবাজির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
আজ সোমবার সকালে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সনদ বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গতকাল রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) জেলার বিভিন্ন প্রবেশমুখ থেকে আটক হন তাঁরা। খবর জাগো নিউজের।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জুয়েল আহমেদ (৩০), শফিকুল ইসলাম (২৭), আব্দুর রহমান (৩০), আশরাফ উদ্দিন (৪০), খলিল (৪০), ওমর ফারুক (২৮), ওমর ফারুক (৪০), হাসান মাসুম (৪০), বিপ্লব খান (২৯), ফরহাদ (২৮), আসিফ (২১), আতিকুর রহমান (৪৫) ও মারুফ হোসেন (২৮)
এ ছাড়া অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কবির হোসেন (২৮), রানা (৩০), রাজিব (৩০), দিপু (১৯), সাদ্দাম হোসেন (১৮), সুমন খান লাল (৩২), আব্দুর রহমান মুন্না (৪০), সোহেল (৩৫), আল আমিন (৩৫), ইকবাল (৪৫), রকিবুল হাসান (২৬) ও রাসেল (২৫)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পারে, সম্প্রতি পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির কারণে অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের মূল্য। ফলে সড়ক ও মহাসড়কে এসব বাড়তি খরচের খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। যার কারণে মৌসুমেও কমছে না সবজির দাম। তাই জনগণের সুবিধার্থে অভিযানে নেমে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা নারায়ণগঞ্জের প্রবেশমুখে বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন বলে স্বীকার করেন। তথাকথিত ইজারাদারদের নির্দেশে কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতি রাতে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা চাঁদা আদায়ের রসিদও দিয়ে থাকেন।
র্যাব আরও জানায়, মাঝেমধ্যে গাড়িচালকেরা চাঁদাবাজদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর, চালক ও হেলপারকে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। মূলত তাঁদের কাছে দূরপাল্লার পণ্যবাহী ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীরা জিম্মি। এ বাড়তি খরচের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ১২ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।