ডিএমপি নিউজঃ বাংলাদেশে নৌ পথের সার্বিক নিরাপত্তা ও নৌ সম্পদ রক্ষায় নৌ পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় মাছ ইলিশসহ নদীর মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে নৌ পুলিশ প্রতিবছর ১লা নভেম্বর থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত জাটকা নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। অধিকন্তু মার্চ ও এপ্রিল মাসে বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে নৌ পুলিশ জাটকা সংরক্ষনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে নৌ পুলিশ জাটকা নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করে বিপুল পরিমান অবৈধ জাল ও জাটকা জব্দ করেছে। ২০২০ ও ২০২১ সালের মার্চ ও এপ্রিল এ দুই মাসে নৌ পুলিশের জাটকা নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রমের তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়- ২০২০ সালে এ দুই মাসে উদ্ধারকৃত অবৈধ জালের পরিমান ছিল ২৯ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার ৭৮০ মিটার ও জাটকার পরিমান ছিল ৫৬ হাজার ৮৫৬ কেজি। অপর দিকে ২০২১ সালে একই সময়ে উদ্ধারকৃত অবৈধ জালের পরিমান ছিল ৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ৬৮ হাজার ১০৫ মিটার এবং জাটকার পরিমান ছিল ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৫১ কেজি। নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টারস ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ট্রেনিং, লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া) সাথী রানী শর্মা নৌ পুলিশের সাফল্যের এ তথ্য ডিএমপি নিউজকে জানান।
সাথী রানী শর্মা আরো বলেন, গত ০১/০৩/২০২১ খ্রিঃ হতে ৩০/০৪/২০২১ খ্রিঃ পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে জাটকা নিধনে ব্যবহৃত ২২৩ টি নৌকা ও ২৩ টি ট্রলার আটক করা হয় এবং ১০৩২ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযান পরিচালনা সম্পর্কে নৌ পুলিশ প্রধান ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) বলেন, “জাটকা নিধন প্রতিরোধ অভিযানের সুফল ইতোমধ্যেই দেশের জনগন পেতে শুরু করেছে। কারন গত বছর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সফলতার কারনে এবছরে ইলিশের ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৭,৫৭,০০০ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। ফলে যেখানে গত বছরে জাটকা আহরনে CPUE(Catch Per Unit Effot) ছিল ১০.৫ কেজি সেখানে এ বছর ২০২১ সালে জাটকা আহরনের CPUE(Catch Per Unit Effot) হচ্ছে ১৯.৯ কেজি। সেজন্য আশা করা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুন হবে। ফলে দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে রূপালি ইলিশ আরো সহজলভ্য হবে এবং দেশের অভ্যন্তরে আমিষের প্রয়োজন মিটিয়ে দেশের বাহিরে রপ্তানির মাধ্যমে জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”