মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। ছবি: পিএমও

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ৪২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৮টা ৪২ মিনিট) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। খবর বাসসের। খবর বাসসের।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।

এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রোববার রাত ৯টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) লন্ডনে পৌঁছায়। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন।

রোববার সকাল ১০টার পর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট। সে সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিশ্বনেতারা ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে জমায়েত হবেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বাস পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার : ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে ত্বরান্বিত পদক্ষেপ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং সবার জন্য স্থায়িত্বের দিকে’।

এ সফরে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের প্রথম দিনের বিতর্কে যোগ দেবেন। ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, সাধারণ বিতর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন-অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ও ন্যায়বিচারের মতো বিষয় তুলে ধরবেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি এই সফরকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাসংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।

এরমধ্যে আজ সোমবার নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও ও ডেলয়েট আয়োজিত ‘খাদ্যের জন্য চিন্তা– খাদ্য সরবরাহ চেইন উদ্ভাবনের জন্য এসডিজিকে ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মূল বক্তব্য দেবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।