জাঁকজমকপূর্ণ নানা আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সীমিত পরিসরে আরপিএমপি’র কমিশনার মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম-এর নেতৃত্বে বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়।
বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দুপুর ১২টায় প্রকাশিত স্মরণিকা ‘প্রগতি’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, করোনাকালে পুলিশের ভূমিকা এবং রংপুরের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই স্মরণিকা প্রকাশিত হয়।
এর পরেই কেক কাটা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মাননীয় মেয়র মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম, রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহেনূর, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ,কে,এম নুরন্নবী, রংপুরের জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসান, রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম (বার), পিপিএমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সংবাদকর্মী ও রংপুর মহানগরের সম্মানিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
এরপরে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আর্কাইভ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এ সময় অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা আর্কাইভ পরিদর্শন করেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাকালীন সব ডকুমেন্ট, ইতিহাস, স্মারক, প্রকাশিত ছবিসহ অন্যান্য প্রকাশনা, সংরক্ষণযোগ্য নথিপত্র, কালানুক্রমিক ঘটনাপঞ্জি উপস্থাপন করে নগরীর নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির চতুর্থ তলায় প্রতিষ্ঠা করা হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ আর্কাইভ।
এ ছাড়া হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি অম্লান রাখতে আর্কাইভে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’।
আরপিএমপি’র সব থানা ও পুলিশ লাইন্সে বৃহস্পতিবার সকালে একযোগে কেক কাটা ও দুপুরে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। শহরের বিভিন্ন মোড় রঙিন ফেস্টুন দিয়ে সুসজ্জিত এবং আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়।
তৃতীয় বর্ষপূর্তির দিনে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আরপিএমপি’র নিজস্ব উদ্যোগে ও অর্থায়নে চালু করা হয় ‘সাশ্রয়ী মূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস’।
ওই সার্ভিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশ কমিশনার মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া এবং দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্যই এই উদ্যোগ। অ্যাম্বুলেন্সটি শুধু রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে রোগী বহনের কাজে ব্যবহৃত হবে।