নরসিংদীর রায়পুরার নিলক্ষায় বাড়িতে ঢুকে জুলহাস মিয়া (২৮) নামের পোল্ট্রি খামারিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ওই সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
রায়পুরা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর এলাকায় বুধবার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের একাধিক দল।
দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন রায়পুরা থানার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের বটতলীকান্দি এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৩) ও নিলক্ষা ইউনিয়নের দড়িগাঁও এলাকার মঙ্গল ব্যাপারীর ছেলে রাকিব (২২)।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী বলেন, গত ২২ এপ্রিল ঈদের দিন বিকেলে নিলক্ষার বীরগাঁও এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে উল্লাস করছিল একদল সন্ত্রাসী। ওই সময় পোল্ট্রি খামারি জুলহাস মিয়াসহ স্থানীয়রা তাঁদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পোল্ট্রি খামারি জুলহাস মিয়ার বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। ওই সময় জুলহাস মিয়াসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাঁদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পর জুলহাস মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আহত আরও চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় নিহত জুলহাসের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে সোমবার রাতে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে গোয়েন্দা শাখাসহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম। বুধবার ভোরে নবীনগরের থোল্লাকান্দি এলাকা থেকে সুমন মিয়া ও রায়পুরার হরিপুর কাওয়াবাড়ি এলাকা থেকে রাকিবকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি একটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এর আগেও হত্যাসহ দুটি মামলা রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী।