ইউরোপের দেশ নরওয়েতে তীর-ধনুক নিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় পাঁচজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। রাজধানী অসলোর দক্ষিণ-পশ্চিমে কংসবার্গ শহরে ১৩ অক্টোবর স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। খবর বিবিসির।
পুলিশ বলেছে, ওই হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ডেনমার্কের ৩৭ বছর বয়সী এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৩ অক্টোবর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় বিকেল ৪টা ১৩ মিনিট) কংসবার্গ থেকে হামলার খবরটি পাওয়া যায়।
নরওয়ে পুলিশের মুখপাত্র বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ছাড়া হামলায় আর কেউ সংশ্লিষ্ট নেই। তবে ঘটনাটি সন্ত্রাসবাদ কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী আর্ন সলবার্গ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, অনেক মানুষই ভয়ের মধ্যে সময় পার করছেন। পরিস্থিতি যে পুলিশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, তা এখন জোরের সঙ্গে বলা গুরুত্বপূর্ণ।’
স্থানীয় সূত্র বলেছে, হামলাকারী কংসবার্গ শহরের পশ্চিমাঞ্চলে একটি সুপারমার্কেটে ওই হামলা চালায়। আহতদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন, যিনি ঘটনার সময় ওই সুপারমার্কেটে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় পুলিশপ্রধান ওয়ভিন্দ আস বলেছেন, হামলাকারী প্রথমে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তবে হামলার ঘটনার ৩৪ মিনিট পর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীকে দ্রামেন শহরের পুলিশ স্টেশনে নেওয়া হয়। তাঁর আইনজীবী ফ্রেডেরিক নম্যান বলেছেন, তাঁর মক্কেলকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছেন। এই আইনজীবী আরও বলেন, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীর মা ডেনমার্কের নাগরিক, আর বাবা নরওয়ের নাগরিক।
পুলিশের কৌঁসুলি অ্যান আইরেন স্ভেন মাথিয়াসেন স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে বলেছেন, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী কয়েক বছর ধরেই কংসবার্গে বসবাস করছেন। তাঁর সম্পর্কে পুলিশ জানে।