রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) গিয়েছেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের অবজারভেশন ওর্য়াডে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।
আহত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কর্মীরা পুলিশের ওপর মারমুখী ছিল। তাঁরা ঢিল ও ইটপাটকেল ছুড়েছিল। সেটি মোকাবেলা করতে গিয়ে ৪৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সব সময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বলি। কিন্তু ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা করলে তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুপ থাকতে পারে না। শান্তিপূর্ণভাবে কোনো সমাবেশ করলে তাতে কোনো বাধা নেই।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপি বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করেছে। আমরা বাধা দিইনি। এখন তারা ঢাকায় যে স্থানে সমাবেশ করতে চাইছে, সেখানে বড় জমায়েত করার সুযোগ নেই। তাই বিকল্প চিন্তা করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় ২৫ লাখ লোক জমায়েতের বার্তা দিয়েছিল বিএনপি। তারা প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মানিক মিয়া এভিনিউ ও নয়াপল্টন চেয়েছিল। মানিক মিয়া এভিনিউ কখনো কাউকে সমাবেশের জন্য অনুমতি দেওয়া হয় না। সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপিকে সমাবেশের সুযোগ দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে তাদের সম্মেলন এগিয়ে আনতে বলেন। সে অনুযায়ী ছাত্রলীগ সম্মেলন এগিয়েও আনে। আমরা মিরপুরের কালশীতে বিকল্প স্থান হিসেবে বলেছি। আমরা কোনোক্রমেই রাস্তাঘাটে অরাজক পরিবেশ হোক, তা চাই না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান; ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম; ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার), পিপিএম এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।