নড়াইল জেলা পুলিশের তৎপরতায় মানব পাচার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৪০০টি সিম কার্ড ও আটটি মোবাইল ফোন।
গত মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে কুষ্টিয়া সদর থানাধীন দহকোলা গ্রাম থেকে মো. তরিকুল ইসলাম (৩৫) ও কুবাদ আলীকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়।
নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান জানান, বছর দুয়েক আগে লিবিয়ায় যান নড়াইলের লোহাগড়া থানাধীন নওয়াপাড়া গ্রামের মো. আল আমিন শেখ (২৮)। গত মার্চ মাসে তাঁর বাড়িতে ফোন করে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা জানায়, আল আমিন তাদের কাছে জিম্মি এবং ১০ লাখ টাকা না দিলে মেরে ফেলবে। একই সঙ্গে আল আমিনকে মারধরের ছবি ও ভিডিও পাঠায়। আল আমিনকে বাঁচাতে অপহরণকারীদের তিন ধাপে ১০ লাখ টাকা দেয় তাঁর পরিবার।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কিন্তু অপহরণকারীরা আরও টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার। তদন্তের একপর্যায়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের (সিসিআইসি) সদস্যরা কুষ্টিয়া থেকে সন্দিগ্ধ দুই মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দুজন জানান, লিবিয়ায় অবস্থানকারী মানব পাচার চক্রের সঙ্গে তাঁদের যোগসূত্র আছে। তাঁদের সহায়তায় লিবিয়ায় বাংলাদেশিদের আটকে মারধর করে মুক্তিপণ আদায় করে চক্রটি।
পুলিশ সুপার জানান, চক্রের অপর সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।