পুলিশি হেফাজতে আসামি। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

নড়াইলে মো. শিমুল হোসেন গাজী (৩৪) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী মোছা. পলি খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা-পুলিশ। পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে হত্যা করে এক সপ্তাহ ধরে নিজ ঘরে মাটিচাপা দিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

গত সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নড়াইল সদর থানাধীন কাইচদাহ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহত শিমুল যশোরের অভয়নগর থানাধীন শ্রীধরপুর এলাকার বাসিন্দা।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, শিমুলের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী থাকেন শিমুলের গ্রামের বাড়ি শ্রীধরপুরে। দ্বিতীয় স্ত্রী পলি নড়াইল সদর উপজেলার কাইচদাহ গ্রামে থাকেন। বেশির ভাগ সময় দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গেই থাকতেন শিমুল। সবশেষ গত ৩১ আগস্ট প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে চলে যান শিমুল। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ মিলছিল না। গত ৬ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় স্ত্রী পলিকে ফোন করেন শিমুলের ভাই মো. ইমরুল ইসলাম (৩৭)। পলি তাঁকে জানান, শিমুল গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে বাড়ি থেকে চলে গেছেন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শিমুলের সন্ধান না পেয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর যশোরের অভয়নগর থানায় অভিযোগ করেন তাঁর ভাই ইমরুল। তবে শিমুল ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী নড়াইল সদর থানা এলাকায় বাস করায় ইমরুলকে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে পলির বাড়িতে গিয়ে শিমুলের বিষয়ে জানতে চান ইমরুল। তবে পলি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। এ কারণে স্থানীয় শেখহাটি পুলিশ ক্যাম্পকে বিষয়টি জানান ইমরুল। খবর পেয়ে পলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে স্বামী শিমুলকে হত্যার কথা স্বীকার করেন পলি। পরে পলির ঘরের মাটি খুঁড়ে শিমুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে পলি জানান, পারিবারিক কলহের জেরে গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে শিমুলকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। অচেতন হয়ে পড়লে শিমুলের গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন পলি। পরে ঘরের মধ্যে লাশ মাটিচাপা দেন।

ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, শিমুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি পলি।