নড়াইলের বহুল আলোচিত সুফল বিশ্বাস (৩৬) হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি তমাল শিকদারকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে লোহাগড়া থানাপুলিশ।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন কাঁচপুর ব্রিজের নীচ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামি তমাল শিকদার বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তমাল লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর দক্ষিণপাড়ার মৃত অনিল বিশ্বাসের ছেলে সুফল বিশ্বাসের সাথে একই গ্রামের রুস্তম শিকদারের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের জের ধরে সুফল ওই মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় ওই মেয়ের অভিভাবক লোহাগড়া থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার পর সুফল বিশ্বাস প্রায় দুই মাস জেল হাজতে থাকার পর আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে নিজ গ্রামে চলে আসেন।
গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে সুফল বিশ্বাস জমির কাটা পাট নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। প্রতিবেশী সুভাষ বিশ্বাসের জমির ওপর পৌঁছালে রুস্তম শিকদারের বড় ছেলে রুবেল শিকদার ও ছোট ছেলে তমাল শিকদারসহ ৩/৪ জনের একদল দুর্বৃত্ত তাকে হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এলাকাবাসী আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুফল বিশ্বাস মারা যান।
হত্যাকাণ্ডের পর ১৯ আগস্ট নিহত সুফল বিশ্বাসের স্ত্রী সোনা রানী বিশ্বাস বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ইতিমধ্যে সুফল বিশ্বাস হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ৪ জন আসামির মধ্যে ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বহুল আলোচিত সুফল বিশ্বাস হত্যা মামলায় ৪ জন আসামির মধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করছে। আশা করি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।