রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকার বিভিন্ন ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে দেশি-বিদেশি নামীদামি ব্র্যান্ডের বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ ও ক্রিম উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। খবর ডিএমপি নিউজের।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আজ রোববার আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম বিপিএম, পিপিএম (বার)।
অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন ফয়সাল আহমেদ, সুমন চন্দ্র মল্লিক ও মো. লিটন গাজী।
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, গতকাল শনিবার এই অভিযান চালানো হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রাজধানীর মিটফোর্ডের পাইকারি ওষুধ মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে নিষিদ্ধ ও জীবনরক্ষাকারী দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ ও ক্রিম বিক্রি করছে- এমন তথ্য পায় গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। তথ্যের ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহায়তায় মিটফোর্ডের সুরেশ্বরী মেডিসিন প্লাজার নিচতলার মেডিসিন ওয়ার্ল্ড ও অলোকনাথ ড্রাগ হাউস এবং হাজী রানি মেডিসিন মার্কেটের নিচতলায় রাফসান ফার্মেসিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, রাজধানীর মিটফোর্ড মার্কেটটি ওষুধের পাইকারি বাজার হওয়ায় নকল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকারী চক্র দেশব্যাপী নকল ওষুধ ছড়িয়ে দিতে মিটফোর্ড ওষুধ মার্কেটকে ক্যামোফ্লাজ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। গ্রেপ্তার আসামিরা মিটফোর্ড মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী হিসেবে দেশব্যাপী নকল ওষুধ ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা পালন করে আসছে।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বেশি লাভের আশায় এসব দেশি-বিদেশি নামীদামি ব্র্যান্ডের ওষুধ ও ক্রিম তাঁদের সহযোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে মিটফোর্ড এলাকায় বাজারজাত করে আসছিলেন।
নকল ওষুধ প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন হতে হবে। ওষুধ কেনার আগে সেটি রেজিস্টার্ড কি না, তা দেখতে হবে। নকল ওষুধ উৎপাদন, মজুত ও বাজারজাতকারীদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।
গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাজীব আল মাসুদ বিপিএম-এর নির্দেশনায় কোতোয়ালি জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজাদের নেতৃত্বে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ টি এম কিবরিয়া খাঁ এবং ড্রাগ সুপার মোহাম্মদ মওদুদ আহমেদের সমন্বয়ে যৌথভাবে এই অভিযান চালানো হয়।