বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির সময় গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন দিয়ে নাশকতা করায় ঢাকা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, রংপুর ও খুলনায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা বিএনপির নেতাকর্মী।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ঢাকা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম (৪৪), সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সুরুজ্জামান (৪৭), ধামরাই পৌর ছাত্রদলের সদস্য অপূর্ব চন্দ্র দাস (২২), ঢাকা জেলা বিএনপির সদস্য মো. মুমিনুল ইসলাম (৪৫), ধামরাই থানা যুবদলের সদস্য মো. রাজীব হোসেন ও সাভার থানা যুবদলের সদস্য মো. সুজন (৩৪)।
ঢাকা জেলা পুলিশ জানায়, বিএনপি গত ২৯ জুলাই ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এই কর্মসূচি পালনের সময় বেলা ৩টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে দলটির কয়েকজন নাশকতাকারী ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার নিরিবিলি এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় আগুনে পুড়ে যাওয়া বাসের চালক মো. আনোয়ার হোসেন আশুলিয়ার থানায় ৩০ জুলাই মামলা করেন।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) তাঁর কার্যালয়ে ৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, মামলা হওয়ার পরপরই তিনি দুস্কৃতিকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিলে আশুলিয়া থানা ও জেলা গোয়েন্দা (উত্তর) পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত টিম কাজ শুরু করে। তারা সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচলা করে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ৫ আগস্ট তিন আসামি শহিদুল, সুরুজ্জামান ও মুমিনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এরপর ওই তিনজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুলনা, রংপুর, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ আগস্ট বাকি তিন আসামি অপূর্ব, রাজীব ও সুজনসহ ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরাও ওই তিনজনও নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ নাশকতার সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না সে ব্যাপারে তদন্ত এবং অভিযান অব্যাহত আছে।