পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুরি যাওয়া মালপত্র উদ্ধার করেছে যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিরা হলেন মাদারীপুর সদর থানা এলাকার ফেরদৌস হাওলাদার ওরফে মামুন (৪০), গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থানা এলাকার শাহাদত মোল্লা (৪২), ময়মনসিংহের ফুলপুর থানা এলাকার মোখলেছুর রহমান খান (৩৭), গাজীপুরের বাসন থানা এলাকার ফারুক হোসেন (৪০) এবং ঢাকার লালবাগ থানা এলাকার শহিদুল ইসলাম (৪৫)।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বিপিএম (বার), পিপিএম জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ভারত থেকে আমদানি করা মালপত্র গত ১৯ মে বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করে এস আই চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্রান্সমিশন লাইন প্রজেক্টের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোমাকো কোম্পানির পক্ষে কাজটি করে ওই প্রতিষ্ঠান। এসব মালপত্র রূপপুর ও সিরাজগঞ্জে পাঠাতে প্রধান আসামি মো. আমিনুল ইসলামের (৫০) সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিষ্ঠানটি। সন্ধ্যায় এসব মালপত্র বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বড় আঁচড়া গ্রামের টিটিআই শেড থেকে ট্রাকে তোলা হয়। ঢাকা মেট্রো ট-২৪-০৭১৯ নম্বরের ট্রাকচালক আসামি মো. মামুন (৩৫) তাঁর সহযোগীকে নিয়ে গন্তব্যে রওনা দেন।
পুলিশ সুপার জানান, পরদিন ২০ মে ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানকে ফোন করে কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রাকটি গন্তব্যে পৌঁছায়নি। এ সময় ট্রাকচালক মামুনের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রধান আসামি আমিনুলও কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের মো. নাইমুর রহমান।
তিনি আরও জানান, তদন্তের একপর্যায়ে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর ঢাকা ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার এবং ২৬৭ বস্তা মালপত্র উদ্ধার করে ডিবি। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।