
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ, ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) বলেছেন, রাজধানী ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা বিধান এবং এ শহরের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ডিএমপি অনেক চড়াই-উতরাই অতিক্রম করেছে।
আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে এক নাগরিক সম্মিলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
পুলিশপ্রধান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সবাইকে মুজিব শতবর্ষের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বিগত এক বছরে বিশেষ করে করোনাকালে সম্মুখযুদ্ধ হিসেবে ডিএমপির যেসব সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। যাঁরা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে রাজারবাগের ময়দান থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শহীদ হয়েছেন, তিনি তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি—সবই ঢাকাকেন্দ্রিক। এ শহরকে কেন্দ্র করেই আমাদের উন্নয়নের অভিযাত্রা। এই অভিযাত্রা নিশ্চিত করতে হলে এ শহরকে নিরাপদ রাখতে হবে। ডিএমপি দক্ষতার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করছে। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ করে করোনাকালে ডিএমপি মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছে।
আইজিপি বলেন, ‘ডিএমপি বিশ্বের অন্যতম জনবহুল নগরের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। দেশের উন্নয়নের ঢেউ ঢাকা থেকে সারা দেশে আছড়ে পড়ে। আমরা ডিএমপিকে পুলিশের প্রতিচ্ছবি মনে করি।’
ডিএমপি আগামী দিনগুলোতেও তাদের দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্য দিয়েই নগরের মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নেবেন বলে আইজিপি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে নগরের বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, সাবেক আইজিপিগণ, সাবেক ডিএমপি কমিশনারগণ, সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তাগণ, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।