ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের মাঝে আস্থার জায়গা তৈরি করছে। আমরা এক সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রয়োজন অনুভব করিনি। এখন আমরা বুঝতে পারছি, ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীতে ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ‘কমবেটিং ফিউচার চ্যালেঞ্জস ইন ট্যুরিজম সিকিউরিটি : বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ পারস্পেকটিভস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান।
মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক সিইও জাবেদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দেব, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার অশ্বিনি নায়ার, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির সদস্য মনোয়ারা হাকিম আলী এবং টোয়াব প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের গভর্নিং বডির সদস্য শিবলুল আজম কোরাশী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি মো. আবু কালাম সিদ্দিক।
আইজিপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠনের পর শিল্পখাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি থেকে একটি শিল্পানুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তেমনিভাবে ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠনের ফলে পর্যটনখাতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
তিনি বলেন, দেশে স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করায় বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে। মানুষের আয় বাড়ছে। আমাদের পর্যটনখাতও বিকশিত হচ্ছে।
পুলিশপ্রধান বলেন, প্রযুক্তির বিকাশের ফলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। পুলিশের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ পুলিশ সংকল্পবদ্ধ।
মূল প্রবন্ধকার বলেন, পর্যটন একটি বিকাশমান খাত। এ খাতের ৯৫ ভাগ অভ্যন্তরীণ পর্যটক এবং ৫ ভাগ বিদেশি পর্যটক। পর্যটন খাতকে শক্তিশালী করতে হলে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। পর্যটন এলাকার নিরাপত্তা প্রদান এবং পর্যটকদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি করতে পারলে এ খাতের দ্রুত বিকাশ ঘটবে। তিনি বলেন, সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে সচেষ্ট রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আলোচকগণ ট্যুরিস্ট পুলিশের জনবল বাড়ানো এবং অধিক্ষেত্র সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পর্যটন শিল্পকে গড়ে তুলতে জোর দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কার্যক্রম শুরু করে।
আইজিপি ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এবং কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন কন্ট্রোল রুম উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশ হেল্পলাইন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ২৪ ঘণ্টা চালু এ হেল্পলাইনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা +৮৮০১৩২০২২২২২২ এবং +৮৮০১৮৮৭৮৭৮৭৮৭ নম্বরে কল করে সহায়তা পাবেন। এখানে পর্যটকরা যেকোনো অভিযোগ জানাতে পারবেন।
এ ছাড়া পুলিশ সদস্যরা পর্যটকদের কীভাবে সেবা দেবেন, সে সম্পর্কিত তথ্য সম্বলিত ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ হ্যান্ডবুক’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয় অনুষ্ঠানে।