ভারতীয় নাগরিক জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে এসেছিলেন বেড়াতে। আর এখানে এসেই তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের সেবায় হয়েছেন মুগ্ধ। সেই মুগ্ধতা তিনি ভারতে ফিরে গিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের ফেসবুক পেজে মন্তব্য করে জানিয়েছেন। শুধু জিয়াউরই নন, তাঁর মতো অনেক বিদেশি পর্যটকই ট্যুরিস্ট পুলিশের সেবার প্রশংসা করছেন প্রতিনিয়ত।
ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, ট্যুরিস্ট পুলিশের বর্তমান প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমানের নির্দেশনা আছে, দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা যাতে সব সময় পুলিশি সহায়তা পান। এ জন্য পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তারা গাড়িভাড়া, ক্যামেরা ভাড়া, বাচ্চা বা আপনজন হারিয়ে যাওয়াসহ অনেক ক্ষেত্রে পর্যটকদের সহায়তা করেন। এ জন্য পর্যটকদের কাছে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রশংসা বাড়ছে।
পেশায় স্কুলশিক্ষক ভারতীয় নাগরিক জিয়াউর রহমান ট্যুরিস্ট পুলিশের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তাদের। সাহাদাত সাহেব, রতন সাহেব এবং অন্যান্য কর্মী ঝড়-পানি উপেক্ষা করে রিস্ক নিয়ে স্পটে গিয়ে পর্যটকদের যেভাবে সতর্ক করছেন এবং বাবা-বাছা বলে মনে আঘাত না দিয়ে মিষ্টি ভাষায় তাদেরকে নিরাপদ জায়গায় আসতে অনুপ্রাণিত করছেন; তা এককথায় অসাধারণ। আপনারা যেন জীবন্ত সিসিটিভি! জাফলংয়ে কোথায় কে বিপদে পড়ছে সব মুহূর্তে আপনাদের রাডারে চলে আসছে! আপনাদের হ্যাটস অফ। আপনাদের কর্মকান্ড শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে দৃষ্টান্তস্বরূপ। আপনারা এমন ব্যবহার করেন, মনে হয় অনেক দিনের চেনা। পেশাদারত্বের সাথে সাথে পর্যটকদের মনও জয় করে নিচ্ছেন। আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা নিরন্তর।’
ট্যুরিস্ট পুলিশের সেবায় মুগ্ধ অনেক বিদেশি পর্যটকই পুলিশের পেজে তাঁদের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে পোস্ট দেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের ফেসবুক পেজ ঘেটে দেখা গেছে, দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা পুলিশি সেবা পেয়ে অনেকে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন। সাদিয়া বিনতে ফারিদ নওশীন লিখেছেন- ‘কমপ্লেইন করার আগে আমি খুব দ্বিধায় ছিলাম। রতন শেখ আঙ্কেল ও উনার টিম আগ্রহ নিয়ে আমার কথা শুনলেন এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আমাকে আশ্বস্ত করেন। আমি জাফলং ত্যাগ করার পূর্বেই ফটোগ্রাফি কমিটির সভাপতি আমাকে সমুদয় টাকা ফিরত দিয়ে কমপ্লেন উইথড্র করেন। সত্যি বলতে খুব অবাক হয়েছিলাম। এতটা আশা করিনি, আসলে।’