বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে এবং ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসারে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে অতিথিরা । ছবি: সংগৃহীত।

পর্যটনশিল্পে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এক জরিপে দেখা গেছে, প্রায় ৮৬ শতাংশ পর্যটক তাঁদের কার্যক্রমকে ইতিবাচক মনে করেন। ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের সহায়তায় বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের (বিসিএএস) এক জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে। খবর প্রথম আলোর।

গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানের স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে এ জরিপের ফল তুলে ধরা হয়।

‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে এবং ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসারে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা’ শীর্ষক জরিপে অংশ নেন ৮০০ পর্যটক।

গবেষণার সমন্বয়কারী এবং বিসিএএসের জ্যেষ্ঠ গবেষক মনোয়ারুল ইসলাম গবেষণার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, দেশের অনেক মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তর পর্যটনশিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়। বিসিএএস ছয় মাস ধরে দেশের ছয়টি পর্যটন এলাকায় গবেষণা পরিচালনা করে। এগুলো হলো শ্রীমঙ্গল (সিলেট), বান্দরবান, কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন (কক্সবাজার), বাগেরহাট ও মোংলা (বাগেরহাট)। মূলত তিনটি মূল উদ্দেশ্য নিয়ে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। এগুলো হলো অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে ট্যুরিজম ও ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যগুলোর প্রসারে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা এবং ট্যুরিজমের ভ্যালু চেইনে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভূমিকা চিহ্নিত করা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ পর্যটন স্থানগুলোয় ভ্রমণ করেন। জরিপে প্রায় ৮৬ শতাংশ পর্যটক ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রমকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন।

বিসিএএসের চেয়ারম্যান খন্দকার মঈনউদ্দিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সুপারনিউমেরারি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ। কর্মশালায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।