পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় বান্দরবান জেলার প্রতিটি পাহাড়ের ভাঁজেই রয়েছে মনোমুগ্ধকর স্থান। রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া। অথচ সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া নিয়ে রয়েছে মতভেদ। আজ পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ও ঝরনা নির্ণয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। কোনো কোনো ট্রেকিং গ্রুপ তা নির্ণয় করলেও উপযুক্ত তথ্যের অভাবে প্রকাশিত হয়নি। আর এই মতভেদ দূর করতেই উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের বান্দরবান ইউনিট।
প্রাথমিকভাবে চলতি শীত মৌসুমে ১০টি সর্বোচ্চ পর্বতকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ ডিসেম্বর ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান রিজিওন কর্তৃক আয়োজিত দেশের সর্বোচ্চ ১০টি পর্বতশৃঙ্গ ও ১০টি বৃহৎ ঝরনা নির্ণয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
এ সময় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৈ শৈ হ্লা, সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ ও মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, জেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, এই শীত মৌসুমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ নির্ণয় করার পর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাস করে গেজেট করা হবে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বান্দরবানে লাখ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটলেও যোগাযোগ-যাতায়াত, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পর্যটনবান্ধব পরিবেশের ঘাটতি থাকায় পর্যটকেরা পদে পদে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হন; যা সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এই অব্যবস্থাপনা নিরসনে ২০১৫ সালে বান্দরবানে চালু হওয়া ট্যুরিস্ট পুলিশ ইউনিট ট্যুরিজমের উন্নয়নে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের মধ্যে একটি হচ্ছে ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং পর্যটনশিল্প বিকাশে গঠিত বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’।