চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত সাকিবকেই পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম ম্যাচে হারলেও পরের দুই ম্যাচ জিতে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই দুই ম্যাচেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতেছেন সাকিব।
যুগান্তরের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার পাপুয়া নিউগিনির বিরুদ্ধে সাকিব তিনে নেমে ৩ ছক্কায় ৩৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। এরপর তাঁর বোলিংয়ের সামনে পাপুয়ারা দাঁড়াতেই পারেনি। এ অলরাউন্ডার ৪ ওভারে ৯ রানে ৪ উইকেট নেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোলিংয়ে এটাই সেরা পারফরম্যান্স সাকিবের। এর মধ্যে শেষ উইকেটটি দিয়ে আফ্রিদির রেকর্ডে ভাগ বসান তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে শহীদ আফ্রিদির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডে ভাগ এখন সাকিবেরও। পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে তিনি এই রেকর্ডের দেখা পেলেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের মোট উইকেটের সংখ্যা ৩৯। ২৮টি ম্যাচ খেলে ৩৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। রেকর্ডটি গড়তে পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আফ্রিদি খেলেছেন ৩৪ ম্যাচ। আফ্রিদির চেয়ে ৬ ম্যাচ কম খেলেই তাঁর রেকর্ডে ভাগ বসালেন সাকিব।
বোলিংয়ে ওভারসংখ্যায়ও সাকিব আফ্রিদির চেয়ে কম বল করে মাইলফলকটির দেখা পেয়েছেন। আফ্রিদি ৩৯ উইকেট পেয়েছেন ১৩৫ ওভার বল করে। সাকিব ১০০.১ ওভারেই তাঁর পাশে বসলেন। অর্থাৎ ৩৪.৫ ওভার কম বল (২০৯ বল) করেছেন সাকিব। আর একটি উইকেট পেলেই আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে এককভাবে রেকর্ডটা নিজের করে নেবেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিদি প্রতি ২০.৭ বলে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। সাকিবের স্ট্রাইক রেট তাঁর চেয়ে বেশ ভালো—১৫.৪ বলে একটি উইকেট। বোলিং গড়েও আফ্রিদির (২৩.২৫) চেয়ে এগিয়ে সাকিব (১৬.৪১)। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির এই তালিকায় শীর্ষ পাঁচে সাকিব ও আফ্রিদির পর রয়েছেন যথাক্রমে লাসিথ মালিঙ্গা (৩১ ম্যাচে ৩৮ উইকেট), সাঈদ আজমল (২৩ ম্যাচে ৩৬ উইকেট) ও অজন্তা মেন্ডিস (২১ ম্যাচে ৩৫ উইকেট)।