কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বজুড়ে সম্মানজনক ইনফোসিস-ফিনাকল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এবার তিনটি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেল ব্যাংকটি।
বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চ্যানেল ইনোভেশন ফর ফিন্যানশিয়াল ইনক্লুশন লিভারেজিং টেকনোলজি, কোভিড রেসপন্স ইনোভেশন ফর ইনোভেটিভ ব্যাংকিং ডিউরিং প্যানডেমিক এবং ইকোসিস্টেম-লেড ইনোভেশন ফর কাস্টমার সার্ভিস অ্যানিটাইম অ্যানিহোয়্যার ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার পেয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিউনিটি ব্যাংকের এই সাফল্যের মূল কারণ হলো বিকল্প ব্যবস্থায় গ্রাহকসেবা দিতে এই ব্যাংকের ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ কৌশল। ২০১৯ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার পর কমিউনিটি ব্যাংক এরই মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় ১৮টি শাখা, ১৬৫টি এটিএম, ১১০টি সার্ভিস ডেস্ক নিয়ে ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া এই ব্যাংকের জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ ‘কমিউনিটি ক্যাশ’ ব্যবহার করে গ্রাহক যেকোনো সময় লেনদেন করতে পারছেন। বর্তমানে ব্যাংকটির ৯৯ শতাংশ লেনদেন হচ্ছে বিকল্প ব্যবস্থায়, বিশেষত এর মুঠোফোন অ্যাপ ও এটিএম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ লেনদেন হচ্ছে কমিউনিটি ক্যাশ অ্যাপের মাধ্যমে। ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ হচ্ছে এটিএমের মাধ্যমে। শাখাগুলোর মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে ১ শতাংশের কম।
কমিউনিটি ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের বেতন-ভাতা হয়ে থাকে। দেশের যেকোনো জায়গায় সার্বক্ষণিক সেবার ব্যবস্থা থাকায় এই ব্যাংকের গ্রাহকেরা নিরবচ্ছিন্নভাবে সেবা পাচ্ছেন। এ ছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির সময় নিরাপদ ব্যাংকিং সেবাও নিশ্চিত করেছে এই ব্যাংক।
টানা দ্বিতীয়বারের সম্মানজনক ইনফোসিস-ফিনাকল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার বিষয়ে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মসিহুল হক বলেন, ‘কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ তার বাণিজ্যিক কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করেছিল অনন্য ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। ইনফোসিস-ফিনাকল উদ্ভাবিত ব্যাংকিংয়ের মূল ব্যবস্থা আমাদেরকে কোভিড-১৯-এর মতো সংকটকালেও আমাদের সেবা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা এখন আমাদের ৯৯ শতাংশ গ্রাহককে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সেবা দিচ্ছি। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক এখন আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং চ্যানেলে সেবা নিচ্ছেন, যার ৭২ শতাংশের বেশি সক্রিয়ভাবে আমাদের মুঠোফোন অ্যাপ ব্যবহার করছেন। বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে এটি এক অনন্য উদাহরণ।’