মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বালিগাঁও বাজারে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১৫ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত ২০ জানুয়ারি থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। খবর ঢাকা পোস্টের।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান আল-মামুন বলেন, চাঞ্চল্যকর ওই ডাকাতি মামলায় তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থলের ফুটেজ, জিপিএস ট্র্যাকিংসহ পার্শ্ববর্তী জেলার ডাকাতি মামলা পর্যবেক্ষণ করে ২২ জন জড়িত থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়। এর মধ্যে অভিযানে এ পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে লুট করা নগদ ১০ হাজার টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি তালা কাটার যন্ত্র, ২টি শাবল, ১টি লোহার রড ও ১টি স্ক্রুড্রাইভার উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ডাকাতদের মধ্যে ৮ জন মাদারীপুর, ৬ জন শরীয়তপুর এবং একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, ডাকাতির সঙ্গে জড়িত মো. শফিকুল ইসলাম (২৭), মো. ফরিদ হাওলাদার (৪৫), মো. আনোয়ার হোসেন (৪২), আব্দুর সোবহান ঢালী (৩২), কামাল খান (৪১), মো. দেলোয়ার খলিফা (৩৭), মো. ফারুক খা (২১), মো. কালু হাওলাদার (৩৮), হিরন তালুকদার (৪৩) এবং মিলন খলিফা (৩১) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া শাহিন শেখ (২২), সিরাজুল মাদবর (২৮), মো. ইমরান মাদবর (২৬), সবুজ খা (৩০ ) এবং মোহাম্মদ শাহিন শিকদারকে (৩২) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর রাতে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বালিগাঁও বাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১১টি স্বর্ণের দোকানসহ একটি মুদি দোকান ও একটি ফার্মেসি থেকে ৩৭ ভরি স্বর্ণ, ২৭০ ভরি রূপাসহ ৪০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেন ডাকাতরা। এ ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর গোকুল দাস নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ করেন।