সিলেটের জৈন্তাপুরে ডালিম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৬ মার্চ জৈন্তাপুর মডেল থানায় বাচ্চু মিয়া নামের এক ব্যক্তি তাঁর ছেলে ডালিম মিয়া ৫ মার্চ নিখোঁজ হয়েছে উল্লেখ করে জিডি করেন। এরপরে থানা-পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডালিমের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে থানা-পুলিশ জৈন্তাপুর থানার দেও চাপরা হাওরের সাহেব আলীর পুকুর থেকে একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। পরে ৭ মার্চ পাশের এলাকার ঘাটের চটি নয়াটিলা জামে মসজিদের পাশে আরেকটি লাশ উদ্ধার করে জৈন্তাপুর থানা-পুলিশ। সিআইডির এক্সপার্ট টিম লাশের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই করে মৃতদেহটি ডালিমের বলে নিশ্চিত হয়।
ঘটনাচক্রে বাচ্চু বাদী হয়ে ১টি এবং সত্যান্দ বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা করেন জৈন্তাপুর মডেল থানায়। উভয় ঘটনার প্রকৃত আসামিদের খুঁজে বের করতে সিলেট জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম-এর দিকনির্দেশনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. লুৎফর রহমানের তত্ত্বাবধানে দুটি টিম করে দেন। পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা শাখার উত্তর এবং দক্ষিণের অফিসার ইনচার্জের সমন্বয়ে বিশেষ টিম গঠন করে থানা-পুলিশকে সহায়তা দেওয়া হয়। বিশেষ টিমের সদস্যরা ৯ মার্চ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডালিম হত্যাকান্ডের মূল হোতাকে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদের নেতৃত্বে মামলার আইও এসআই শহীদুল ইসলাম হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামি ফজর আলী হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যার শিকার আরেক ব্যক্তি শম্ভু দেবনাথের হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারে জেলা গোয়েন্দা শাখাসহ থানা-পুলিশের সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।