সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ জার্মানি থেকে বিছানার চাদর কিনছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে জার্মানি থেকে এক লাখ বিছানার চাদর কেনার কোনো পরিকল্পনা পুলিশের নেই। একই সঙ্গে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), বাংলাদেশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) পুলিশ বাহিনীর জন্য জার্মানি থেকে চাদর কেনার লক্ষ্যে জার্মানি সফর করছেন মর্মে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে, তা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে প্রকৃত সত্য এই যে, পুলিশ বাহিনী জার্মানি থেকে বালিশের কাভারসহ বিছানার চাদর ক্রয় করছে না। তা ছাড়া জার্মানি বিছানার চাদর উৎপাদন ও রপ্তানিকারক কোনো দেশ নয়, তারা ভারী শিল্পের দেশ।
সঙ্গত কারণে আইজিপি মহোদয়ের চাদর, বালিশের কাভার ক্রয়ের জন্য জার্মানি গমনের কোনো অবকাশ নেই। তা ছাড়া গণক্রয় আইন অনুযায়ী সরকারি ক্রয় কোনো কর্মকর্তা ব্যক্তিগত সামগ্রীর মতো কোনো মার্কেট বা দেশ সফরে গিয়ে কোনো প্রকার সরকারি পণ্য ক্রয় কিংবা সংগ্রহ করতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে নির্ধারিত সরকারি ক্রয়প্রক্রিয়া রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ সব সময়ই স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে স্থানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা বিছানার চাদর, বালিশের কাভার ক্রয় করে থাকে। চলতি বছরেও অনুরূপভাবে বাংলাদেশ পুলিশ স্থানীয়ভাবে দরপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে তৈরি বিছানার চাদর, বালিশের কাভার সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি সরকারি আদেশে অনবধানতাবশত সৃষ্ট ভাষাগত বিভ্রাটপ্রসূত তথ্যগত বিভ্রান্তির কারণে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি অপপ্রচারকারী চক্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এটি গুজব আকারে ছড়িয়ে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছে।
সরকারি আদেশটি বাতিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে।
এই বিজ্ঞপ্তির পর এ-সংক্রান্ত সব বিভ্রান্তির নিরসন হবে বলে পুলিশ সদর দপ্তর প্রত্যাশা করে।