তিন মাস আগে তরুণীকে পোশাক কারখানায় চাকরির কথা বলে ঝিনাইদহ থেকে ঢাকার শান্তিনগর নিয়ে আসেন পরিচিত এক ব্যক্তি। এরপর তাঁকে ময়মনসিংহের গাঙ্গিনারপাড়ের যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তিন মাস ধরে তাঁকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়েছে।
এমন তথ্য জানিয়ে শনিবার রাত ৯টার দিকে একজন কলার জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে তরুণীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনি আরও জানান, সেখানে তাঁকে বন্দি অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। একজন সুহৃদ খদ্দেরের মোবাইল ফোন থেকে তিনি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেছেন।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল ইবনুল ফয়েজ ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় তরুণীকে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান। পরবর্তী সময়ে ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই রেজাউল করিম কলার এবং উদ্ধার সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কলার তরুণীকে (২২) উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং পরবর্তী সময়ে তাঁর অভিভাবক এসে পৌঁছালে তাঁদের কাছে তরুণীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
কোতোয়ালি থানা পুলিশ দলের নেতৃত্ব দেওয়া এসআই সাজ্জাদ হোসেন সজীব ৯৯৯কে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন।