পুলিশি হেফাজতে আসামিরা। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

মোটরসাইকেলে চড়ে চলন্ত ট্রাক থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জিক্যাল মেশিন চুরির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চুরি যাওয়া সার্জিক্যাল মেশিন উদ্ধার এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজশাহীর পুঠিয়া ও নাটোর সদর থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

উদ্ধার করা সার্জিক্যাল মেশিন। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন রাজশাহীর পুঠিয়া থানা এলাকার হোসাইন মোহাম্মদ সাব্বির (৩০), মো. আশরাফুল ইসলাম (৩৬), মো. মেহেদী হাসান (২৩), মো. রুহুল আমিন (৩১) এবং নাটোর সদর থানা এলাকার মো. কাওসার আলী ওরফে কালু (২৫)।

নাটোরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন জানান, গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা থেকে ট্রাকে সরকারি সার্জিক্যাল মেশিন নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের উদ্দেশে রওনা দেন মেডিক্যাল কলেজের ফার্মাসিস্ট মো. মোসাদ্দেক হোসেন (৪৮)। ৭ অক্টোবর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নাটোর থানাধীন চাঁদপুর কুড়িয়াপাড়া গ্রামে আসার পর ট্রাকের পেছনে শব্দ শুনতে পান ওই ফার্মাসিস্ট। ট্রাক থামিয়ে পেছনে গিয়ে তিনি দেখতে পান, ট্রাকের তালা কেটে সার্জিক্যাল মেশিন নিয়ে গেছেন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। এ ঘটনায় নাটোর সদর থানায় মামলা করা হয়।

পুলিশ সুপার জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া থানাধীন কাঁঠালবাড়িয়া গ্রাম থেকে মূল পরিকল্পনাকারী হোসাইন মোহাম্মদ সাব্বির ও মো. আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া সার্জিক্যাল মেশিন উদ্ধার এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকেলে পুঠিয়া থানাধীন গাঁওপাড়া থেকে মো. মেহেদী হাসান ও মো. রুহুল আমিনকে এবং নাটোর সদর থানাধীন গোরস্থান বাজার থেকে মো. কাওসার আলী ওরফে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চুরির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। ছবি : বাংলাদেশ পুলিশ

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন ধরে নাটোর ও আশপাশের এলাকায় মোটরসাইকেলে চড়ে চলন্ত ট্রাক থেকে মালপত্র চুরির কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন আসামিরা। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।