ভারতের গুজরাটে স্কুলের পিকনিকের নৌকা উল্টে কমপক্ষে ১৪ শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় নৌকায় ২৩ শিক্ষার্থী এবং চারজন শিক্ষক ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্ট জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ভদোদরার হারনি লেকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে হারনি থানার এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৪ শিশু এবং দুই শিক্ষক এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। একজন ছাত্রকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে উদ্ধারকারী সংস্থা এনডিআরএফ। তবে লেকের নিচে কাদা থাকায় তাঁদের উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা আশঙ্কা করছেন, নিখোঁজদের কয়েকজন হয়তো কাদার মধ্যে আটকে গেছে।
পুলিশ কমিশনার অনুপম সিং বিবিসিকে বলেন, নৌকায় কোনো লাইফ জ্যাকেট ছিল না।
এদিকে, পিকনিকের নৌকা উল্টে শিক্ষক-শিক্ষার্থী নিহত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি এবং দুর্ঘটনায় আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল।
নৌকাডুবিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মৃত্যুর খবরে দুঃখ প্রকাশ করে সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ‘গুজরাটের ভদোদরায় নৌকা দুর্ঘটনায় শিশু ও শিক্ষকদের মৃত্যুর খবর অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং উদ্ধার অভিযানের সাফল্য কামনা করছি।’
ভারতে নৌকাডুবির ঘটনা প্রায়ই ঘটে। অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং নিরাপত্তা সরঞ্জামের ঘাটতি থাকে নৌযানে। গত বছর ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।