
চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলীতে বাসায় আগুন লেগে ছয়জন দগ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনায় ভবন মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাতে মরিয়ম ভিলা নামের ছয়তলা ওই ভবনের মালিক মমতাজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই ভবনের ছয়তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লেগে সোমবার রাতে এক পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। খবর বিডিনিউজের।
তাঁদের মধ্যে সাজেদা বেগম নামের ৪২ বছর বয়সী এক নারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যায় মারা যান।
ওই ঘটনায় দগ্ধ শাহজাহান শেখ (২৫), মাহিয়া আক্তার (৯), জীবন শেখ (১৪), স্বাধীন শেখ (১৭) ও দিলরুবা বেগম (১৮) এখনো বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, ওই বাসার একটি কক্ষে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট চালু করার সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্ট ফুলকি থেকে ঘরে আগুন লেগে যায়।
রান্নাঘরের জমে থাকা গ্যাসের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
গত বছরের নভেম্বরেও এ ভবনে গ্যাসের আগুনে নয়জন দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে এক বৃদ্ধা পরে মারা যান।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাড়ির মালিকের ‘গাফিলতি’ এবং বাসার বাতাস নির্গমনের যথাযথ ব্যবস্থা না রাখার কারণেই এক বছরের ব্যবধানে দুবার দুর্ঘটনা ঘটল।
নিহত সাজেদা বেগমের স্বামী জামাল শেখ বলেছেন, সাত-আট দিন ধরে তাঁরা ঘরের ভেতর গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছিলেন। বিষয়টি বাড়ির কেয়ারটেকারকে জানানো হলেও তাঁরা তাতে গুরুত্ব দেয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাড়ির মালিক মমতাজ মিয়া মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ‘বাসার গ্যাসের লাইনে কোনো লিক নাই, কোনো ফল্টও নাই। দোষ ভাড়াটিয়ার। তাদের মশার ব্যাটের ফুলকি থেকেই আগুন লেগেছে।’
আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন জানান, পুলিশ মঙ্গলবারই মমতাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গিয়েছিল। নিহতের স্বামী জামাল শেখ রাতে থানায় মামলা দায়ের করলে তাতে ভবন মালিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলায় মমতাজ ছাড়াও তাঁর শ্যালক ও মরিয়ম ভিলার কেয়ারটেকার বখতেয়ারকে আসামি করা হয়েছে।