গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে তিনটি কলোনির শতাধিক বসতঘর, দোকান ও মালপত্র ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৫ মে) দিনগত রাতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন জানান, বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ৯৯৯ থেকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা। পরে ভোগড়া মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি ও কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে তিনটি কলোনির অর্ধশতাধিক বসতঘর ও দোকানপাট পুড়ে গেলেও কেউ হতাহত হননি।
তবে এক কলোনির মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, অগ্নিকাণ্ডে তিনটি দোকানসহ তাঁর ৩১টি বসতঘর, টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, মোহর আলীর ভাড়া দেওয়া হোটেল ও চায়ের দোকান থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে আশপাশের কলোনিতে ছড়িয়ে পড়ে। নিজেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে ৯৯৯ নম্বরে জানানো হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসতে দেরি করেছেন।
অপর কলোনির মালিক মোহর আলী জানান, তাঁর একটি হোটেলসহ ৩১টি বসতঘর পুড়ে গেছে।
অপর এক কলোনির মালিক আব্দুর রহমান জানান, তাঁর ৭০টির মতো বসতঘর, টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন মালপত্র পুড়ে গেছে। বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেছেন দেরি করে, যার কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনাস্থলে দেরিতে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে ভোগড়া মডার্ন ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. রুহুল আমিন জানান, এলাকায় পানিসংকটের কারণে আগুন নেভাতে কিছুটা দেরি হয়েছে। সূত্র: জাগো নিউজ।