ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেছেন, একসময় খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। সুন্দরবন কখনো শান্ত ছিল না। সুন্দরবন ছিল দস্যুদের অভয়ারণ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশ এ সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত সুন্দরবন ঘোষণা করেছেন। খুলনা এখন শান্তির জনপদ।
আজ বুধবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনসে চারতলা অস্ত্রাগার ভবন, ছয়তলা মাল্টিপারপাস ভবন, ৬০০ কেভিএ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন।
আইজিপি কেএমপিতে কর্মরত অফিসারদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে আমরা সবাই মিলে একযোগে দায়িত্ব পালন করে দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
আইজিপি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী স্মার্ট পুলিশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশকে গড়ে তোলা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশ সক্ষম।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘কোনো পুলিশ সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে থাকে।’
ওই সময় কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক এবং কেএমপি ও খুলনা রেঞ্জের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বিকেলে বাগেরহাটের রামপালে নৌ পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের একাডেমিক ভবন ও ফায়ারিং বাট অবজারভেশন ভবন উদ্বোধন করেন।
তিনি নৌ পুলিশ সদস্যদের বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত ট্রেনিং সেন্টারের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
ওই সময় নৌ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ ও ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান, কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।