পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে কুমিল্লায় টার্মিনাল ছাড়া অন্য কোথাও বাস থামলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এ কথা জানান পুলিশ সুপার।
তিনি জানান, কুমিল্লায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা পুলিশ। টার্মিনাল ছাড়া অন্য কোথাও বাস থামলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নগরীর চকবাজার, শাসনগাছা ও জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল থেকে বাস গেটলক অবস্থায় যাত্রী নিয়ে রাস্তায় বের হবে। কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করাতে পারবে না।
তিনি বলেন, কেউ ফিটনেসবিহীন গাড়ি বা লাইসেন্সবিহীন চালক দিয়ে সড়কে যানবাহন নামাতে পারবে না। কুমিল্লার সিএনজিচালিত অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা যত্রতত্রভাবে কোথাও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা থ্রি হুইলার পার্ক করবে না। নির্ধারিত জায়গা থেকেই সুনির্দিষ্টভাবে এসব যানবাহন চলাচল করবে। হাইওয়েতে উল্টো পথে থ্রি হুইলার বা অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করবে না।
পুলিশ সুপার বলেন, ঈদ সামনে রেখে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির খপ্পর থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে পরিবহনমালিকেরাই প্রতিটি স্টেশনে পর্যাপ্ত পরিমাণে সচেতনতামূলক মাইকিংয়ের ব্যবস্থা রাখবে। কেউ যেন অপরিচিতদের দেওয়া কোনো খাবার না নেয়, সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতেও মাইকিং অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে সাধারণ মানুষকে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে যতজন পুলিশ সদস্য প্রয়োজন হবে, আমরা মোতায়েন করব। কেউ যেন ভোগান্তিতে না পড়ে, সেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রাজন কুমার দাশ, কুমিল্লা জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কবির আহমেদ, কুমিল্লা জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সালাম, কুমিল্লা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের কার্যকরী সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম, জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জিয়াউল হক টিপু প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।