এক দিনমজুরের স্ত্রীকে গৃহকর্মী হিসেবে কাতারে পাঠানোর নামে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে।
এয়ারপোর্ট এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা গৃহবধূ মোসা. আইরিন খাতুন (২০) তাঁর গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে গৃহকর্মী হিসেবে কাতার যাওয়ার ভিসা পান। এরপর তিনি গৃহকর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণের জন্য টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) যান। এ সময় ভুক্তভোগীর পরিচয় হয় তারেকুজ্জামান রাকিবের (২৯) সঙ্গে। রাকিব টিটিসির সামনে কম্পিউটার ও ফটোকপির ব্যবসা করেন।
রাকিব ভুক্তভোগীকে বলেন, বয়স কম হওয়ায় আইরিন কাতারে যেতে পারবেন না। এ ছাড়া তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। এমন ভয় দেখিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আইরিনকে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাব দেন রাকিব। তাঁর প্রস্তাবে আইরিন রাজি হন এবং আসামি রাকিব ও শিপনকে কয়েক দফায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা দেন। টাকা পেয়ে বিভিন্ন অজুহাতে দেরি করতে থাকেন আসামিরা। গত ১২ জুন ও ১৪ জুন আইরিনকে এয়ারপোর্টে আসতে বলে আত্মগোপনে চলে যান দুই আসামি। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে এয়ারপোর্ট এপিবিএনের কাছে অভিযোগ করেন আইরিন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, অভিযোগ পেয়ে আসামিদের গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করে এয়ারপোর্ট এপিবিএন। আইরিনের মাধ্যমে আসামি রাকিব ও শিপনের সঙ্গে আবারও যোগাযোগ করা হয়। এ সময় আইরিনকে ফ্লাইট করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তাঁরা। এ জন্য গত ৩০ জুন আইরিনকে পাসপোর্ট ও টিকিট নিয়ে এয়ারপোর্টে আসতে বলেন। এ সময় তাঁদের দুই সহযোগী রবিন ও শান্তকে পাঠিয়ে আইরিনের কাছ থেকে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন আসামিরা। আইরিনকে পাসপোর্ট ও ভুয়া টিকিট দিয়ে টাকা দাবি করার সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।