ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় এক কলেজছাত্রীর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করে আসছিলেন মো. শামসুল হক (৩৩) নামের এক ব্যক্তি। তবে শেষরক্ষা হয়নি তাঁর। জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে শামসুলকে গ্রেপ্তার করেছে ২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (২ এপিবিএন)।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানা এলাকা থেকে ৯ জুন (রোববার) শামসুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ২ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলী আহমদ খান জানান, শামসুল হক স্থানীয় একটি সমবায় সমিতিতে চাকরি করেন। ওই সমিতি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর (১৭) মা। ঋণের কিস্তির টাকা নিতে শামসুল নিয়মিত ভুক্তভোগীর বাড়ি যাতায়াত করতেন। এই সুযোগে তিনি ভুক্তভোগীর গোসলের ভিডিও ধারণ করেন। এরপর থেকে ব্ল্যাকমেল করে আসছিলেন শামসুল। একপর্যায়ে ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন শামসুল। সে ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন তিনি। পরে তিনি এসব ভিডিও কয়েকজনকে পাঠান।

এই অবস্থায় ভুক্তভোগীর পরিবার ৯৯৯-এ ফোন করে পরামর্শ চাইলে সেখান থেকে মুক্তাগাছায় ২ এপিবিএনের সাইবার ক্রাইম সেলের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়। ৯ জুন ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগ পেয়েই কাজে নেমে পড়ে ২ এপিবিএন। একই দিন অভিযান চালিয়ে ফুলবাড়িয়া থানা এলাকা থেকে অভিযুক্ত শামসুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে দুটি স্মার্টফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।