নোয়াখালীর চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খবর মানবজমিনের।
রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের ভাটারা থানা এলাকা থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর (বুধবার) তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানার নবীর হোসেন (৩২) ও নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর মাকছুদুর রহমান (৩৪)। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ চরজব্বার থানার ওসির সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে তাঁরা ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মনির আহমেদ ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। ৯ সেপ্টেম্বর তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে ভিন্ন দুটি নম্বর থেকে কল আসে। ফোনকারী নিজেকে চরজব্বার থানার ওসি পরিচয় দেন। এ সময় ওই ব্যক্তি আসন্ন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ৪ লাখ টাকা চান। ওই ব্যক্তি এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা আরেকজনকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দেন। চরজব্বার থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) ইউপি চেয়ারম্যান মনির আহমেদ উল্লেখ করেন, ওসি পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির ৮টি বিকাশ নম্বরে তিনি ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা পাঠান। এরপর থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন মনির আহমেদ।
চরজব্বার থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, গ্রেপ্তার দুজন বিকাশের এজেন্ট হিসেবে প্রতারক চক্রকে সহযোগিতা করেছেন। বিকাশ ও বিভিন্ন এজেন্টের সহায়তায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।