চারপাশে পাহাড় আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমাহার। মাঝে ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
১৯৬৩ সালে চট্টগ্রামের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি), বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বাংলাদেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রসচিব ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আবদুল খালেকের উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠা হয় ‘চিটাগং পুলিশ ইনস্টিটিউশন’। ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তৎকালীন কমিশনার ইকবাল বাহার, বিপিএম, পিপিএমের উদ্যোগে কলেজ শাখা চালুর মাধ্যমে সে প্রতিষ্ঠানটি নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে করা হয় সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
সম্প্রতি শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজকে সম্পূর্ণ নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। উন্নত মানের ল্যাব, লাইব্রেরি, শ্রেণিকক্ষ, পরিবহন ব্যবস্থা, ডিজিটাল ক্লাসরুমের মতো নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য প্রশস্ত বসার স্থান, হোয়াইট বোর্ড, বৈদ্যুতিক পাখা ও বাতি ছাড়া অবাধে আলো-বাতাস চলাচলের জন্য সুপ্রশস্ত জানালা এবং সুসজ্জিত শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রাতঃ সমাবেশ ও খেলাধুলার জন্য রয়েছে প্রশস্ত মাঠ। ক্যাম্পাসের ভেতর টিফিনের জন্য রয়েছে ক্যান্টিনের সুবিধা।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে প্রতিষ্ঠানের এক পাশে স্থাপন করা হয়েছে আলাদা লাইব্রেরি, যার একটি অংশজুড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। এ অংশে গ্লাস নির্মিত প্লেটে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের ইতিবৃত্ত; তুলে ধরা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার বিবৃতি।
কোমলমতি শিশু-কিশোরেরা যেন সহজেই বাঙালি জাতির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে, সে জন্য লাইব্রেরির এ অংশ সজ্জিত করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইপুস্তক দিয়ে।
একঝাঁক অভিজ্ঞ ও মেধাবী শিক্ষকের নিরবচ্ছিন্ন তত্ত্বাবধানে কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত যুগোপযোগী শিক্ষাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
এতে বিগত বছরগুলোতে প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঈর্ষণীয়।
২০১৯ সালে প্রাথমিক সমাপনীতে ১০০ ভাগ পাসসহ ৯৯জন এ+, জেএসসি পরীক্ষায় ১০০ ভাগ পাসসহ ৪৬ জন এ+ এবং এসএসসি পরীক্ষায় ৩৪ জন এ+সহ প্রায় শতভাগ পাস করে।
এ ছাড়া ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানের প্রথম এইচএসসি ব্যাচে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।