আসিয়ানাপোলের পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। গত মার্চে কম্বোডিয়ার নমপেনে অসিয়ানাপোলের ৪০তম বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বিপিএম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ ও আসিয়ানাপোলের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে, যা সাইবার অপরাধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে আসিয়ানাপোলের সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলো থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং এই অঞ্চলের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রিয়েল টাইম ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিংয়ের একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার)-এর নির্দেশনায় পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখা থেকে আসিয়ানাপোলের অবজার্ভার স্ট্যাটাসের জন্য আসিয়ানাপোল সচিবালয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করার পর এ স্বীকৃতি এসেছে।
আসিয়ান দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর (ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম) মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গঠিত একটি সংগঠন। আসিয়ান সদস্যভুক্ত দেশগুলো নিজেদের মধ্যে পুলিশি সহযোগিতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ ও মোকাবিলার জন্য ১৯৮১ সালে আসিয়ানাপোল গঠন করে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রস (আইসিআরসি), রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) এবং বাংলাদেশ পুলিশসহ নয়টি সংস্থার আসিয়ানাপোলের অবজার্ভার স্ট্যাটাস রয়েছে।