নরসিংদীতে একাধিক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশের একটি টিম। আসামিপক্ষের ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন নরসিংদী মডেল থানার ১১ সদস্যের পুলিশের দলের চারজন। খবর জাগো নিউজের।

এ ঘটনায় শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

এসআই নাজমুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকার একটি বাড়িতে পুলিশের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মামলায় আসামিরা হলেন — সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলী এলাকার পুরান পাড়ার বাসিন্দা ফরহাদ মিয়া, ফয়সাল মিয়া, সুজন মিয়া, নুরুন নাহার বেগম, সুমাইয়া আক্তার, ইমন প্রধান, লাকি আক্তার, মো. টুটুল, শরীফ মিয়া, শুক্কুর আলী, হাতেম আলী ও মজনু খন্দকার। তারা সবাই এক পরিবারের সদস্য।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক এরশাদ উল্ল্যাহর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গাবতলী এলাকার পুরান পাড়ায় একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ফরহাদ মিয়া, সুজন মিয়া, ফয়সাল মিয়া ও মজনু খন্দকারকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়। এ সময় আসামিদের মধ্যে সুজন ও ফয়সাল মিয়া পালিয়ে যান। তবে, ফরহাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে নিয়ে ফেরার সময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন তার পরিবারের সদস্যরা। এতে নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) এরশাদ উল্ল্যাহ, উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান, রবিউল আওয়াল ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহ আলম আহত হন। পরে তারা গ্রেপ্তার ফরহাদকে সঙ্গে নিয়ে ও আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে থানায় চলে যান।

হামলার শিকার নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) এরশাদ আলী বলেন, রাতে আসামি ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে ফেরার সময় তার পরিবারের সদস্যরা ডাকাত ডাকাত বলে হট্টগোল শুরু করেন। তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা চালান। আমাদের পরিচয়পত্র ও আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়েও কাজ হয়নি। এতে আমি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছি। আমি ছাড়া অভিযানে থাকা পুলিশের আরও তিন কর্মকর্তা একইভাবে আহত হয়েছেন।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার ১৩ আসামির মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ওই পরিবারের সদস্যরা ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর জেলা গোয়েন্দা শাখার ১৮ সদস্যকে মারধর করে হাতকড়া পরিহিত তিন আসামিকেও ছিনিয়ে নিয়েছিলেন।