মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) পাঁচ দিনের সরকারি সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের (বিজি-১৩০২) একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট ১২ মার্চ (শনিবার) দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি ১২ মার্চ বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) আবুধাবি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৭ মার্চ উপসাগরীয় দেশটিতে পৌঁছান। এই সফরকালে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়। এ ছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ৯ মার্চ দুবাই প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, মাননীয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৮ মার্চ দুবাই প্রদর্শনী কেন্দ্র (ডিইসি) পরিদর্শন করেন এবং আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় যোগ দেন। পরে তিনি ডিইসিতে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ও ইউএই প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ১১ মার্চ সকালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য এফএও আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগ দেন এবং সন্ধ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের যৌথ আয়োজনে বিজনেস ফোরামে যোগ দেন। ১১ মার্চ তাঁর সফরের শেষ দিনে, শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায় আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন। তিনি রাস আল খাইমায় বাংলাদেশ ইংলিশ প্রাইভেট স্কুল অ্যান্ড কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।