রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে রমনার পর আরও সাতটি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কাজ করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ঢাকা শহরে সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা শনাক্তের কাজ শুরু হয়েছে। খবর ডিএমপি নিউজের।
একই সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগে এ কার্যক্রম শুরু করেছে। রমনার পর আরও সাতটি ট্রাফিক বিভাগে পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
ডিএমপি ও জাইকার সঙ্গে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) আওতায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (১২ জুন) দুপুরে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ডিআরএসপির তৃতীয় যৌথ সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের ডিসিসহ জাইকার প্রতিনিধিদের আলোচনায় দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান শনাক্তসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
ডিআরএসপির পরিচালক ও ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ঢাকা শহর চ্যালেঞ্জিং জায়গা। কারণ, ঢাকায় বহু যানবাহন চলাচল করে। কোনোটা ধীরে আবার কোনোটা দ্রুত। যন্ত্রচালিত ও যন্ত্রবিহীন সব যানবাহনই এখানে চলে। একেক জায়গায় রাস্তার ধরন একেক রকম, যানবাহনও একেক রকম। ফলে রাস্তায় বের হলে সাধারণ মানুষের ট্রাফিক রুলস সম্পর্কে একটু ধারণা থাকে, তাহলে সেফটি সিকিউরিটিসহ সড়কের অন্যদের জন্যও ভালো হবে। ন্যূনতম সচেতনতা যেন সবার মধ্যে তৈরি হয়, এ জন্য স্কুলপর্যায় থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
ডিআরএসপির সুবিধা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই প্রজেক্টের তিনটি আউটপুট আছে। সেফটি এডুকেশন, ট্রাফিক অ্যাক্সিডেন্ট রিপোর্ট অ্যানালাইসিস ও ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট বাস্তবায়ন করা। ট্রাফিকের বেসিক রুলসই হচ্ছে ট্রাফিক সেফটি এডুকেশন। ঢাকা শহরে দুই কোটির ওপরে মানুষ আছে। তারা সবাই ট্রাফিকের স্টেকহোল্ডার। সবাই কিন্তু রাস্তায় বের হয় এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আওতায় সবাই চলে আসে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ২০২২ সালের মার্চ মাস থেকে জাইকার সঙ্গে ডিআরএসপি বাস্তবায়ন করছে। ডিআরএসপি হলো তিন বছরের জন্য একটি প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রকল্প, যার লক্ষ্য ঢাকায় ব্যাপক ট্রাফিক নিরাপত্তাব্যবস্থা বাস্তবায়নে ডিএমপির সক্ষমতা জোরদার করা।