আরএমপি ডিবির অভিযানে গ্রেপ্তার দুই অপহরণকারী। ছবি: বাংলাদেশ পুলিশ

রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করার ঘটনায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

ওই সময় আসামিদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানার চন্ডিপুরের আকাশ আলী শিমুল(২৫) ও একই এলাকার সাব্বির আহমেদ মুন্না (২৬)।

আরএমপি সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী মহানগরের পবা থানার নওহাটা গ্রামের নুরনবী অন্তর নামের এক ব্যক্তি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নগরের রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকায় বসবাস করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসামি আকাশ, সাব্বিরসহ কয়েকজন ভিকটিম নুরনবী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের অভিযোগ তুলে মারপিট করেন। এরপর নুরনবীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করে লক্ষ্মীপুর ঐতিহ্য চত্বর শিশু হাসপাতালের পেছনে নিয়ে যান তাঁরা। এরপর তাঁরা মোবাইল ফোনে নুরনবীর স্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মু্ক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না দিলে তাঁর স্বামীর হাত-পা ভেঙে দেওয়ারও হুমকি দেন।

বিষয়টি নুরনবীর স্ত্রী রাজশাহী মহানগর পুলিশের ডিবিকে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আরএমপি ডিবির উপকমিশনার কে এম আরিফুল হক, বিপিএম, পিপিএমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিবির এসআই নাদিম উদ্দীন ও তাঁর টিম অপহৃত নুরনবীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।

পরবর্তী সময়ে ডিবির ওই টিম গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া গুজির মাঠ থেকে নুরনবীকে উদ্ধার করে।

অভিযানে অপহরণকারী আকাশ ও সাব্বিরকে ডিবি গ্রেপ্তার করতে পারলেও সেখান থেকে ছয় অপহরণকারী পালিয়ে যান। ওই সময় আসামিদের কাছ থেকে নুরনবীর মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁরা ভিকটিম নুরনবীকে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রথমে শিশু হাসপাতালের পেছনে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে আহত করেন এবং তাঁর কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এরপর তাঁকে লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া গুজির মাঠে নিয়ে যায়।

আরএমপির রাজপাড়া থানায় মামলা করে গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।