রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), শাহ মখদুম ও কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশ পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে গাঁজা, ফেনসিডিল ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ৪ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরএমপির ডিবি পুলিশ ১ কেজি গাঁজা ও ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ দুই ব্যক্তিকে, শাহ মখদুম থানা-পুলিশ ২০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ দুই ব্যক্তিকে ও কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশ পলাতক আসামির ফেলে যাওয়া ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে।
ডিবি পুলিশের গ্রেপ্তার করা আসামিরা হলেন মো. নুরুল ইসলাম (৩৫) ও মো. আরিফ (৩৩)। নুরুল ইসলাম রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার রক্ষিতপাড়ার মৃত ইউনুসের ছেলে ও আরিফ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার সোনারপুর চৌধুরীপাড়ার মো. গোলাম রাব্বানীর ছেলে। শাহ মখদুম থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার করা আসামিরা হলেন মো. সিরাজুল ইসলাম (২৬) ও মো. সুমন ওরফে আকাশ (২০)।
সিরাজুল রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার ওমরপুর গ্রামের মো. এন্তাজুল ইসলামের ছেলে ও সুমন একই থানার বড়বনগ্রাম রায়পাড়ার মৃত একরাম হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, ২৭ মার্চ রাতে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতি: ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কে.এম.আরিফুল হক পিপিএম-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ড. মো. রুহুল আমিন সরকারের দিকনির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার মোসা. আরজিনা খাতুনের নেতৃত্বে এসআই কাজী জাকারিয়া ও তাঁর টিম মহানগর এলাকায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান ডিউটি করছিল। এ সময় তাঁরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, কাশিয়াডাঙ্গা থানার বালিয়া এলাকায় এক ব্যক্তি গাঁজা বিক্রির জন্য অবস্থান করছেন।
এ সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশের ওই টিম রাত সাড়ে ১০টায় কাশিয়াডাঙ্গা থানার বালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
অপর একটি অভিযানে ডিবি পুলিশের এসআই মো. সাইমন ইসলাম ও তাঁর টিম ২৮ মার্চ ২০২৪ রাত ১০টায় রাজপাড়া থানাধীন কেশবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি মো. আরিফকে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করে।
অপর দিকে শাহ মখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই মো. জাহিদ হাসান ও তাঁর টিম ২৮ মার্চ বিকেল ৪টায় শাহ মখদুম থানাধীন ওমরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মো. সিরাজুল ইসলাম ও মো. সুমনকে ২০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা জানান, তাঁরা ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটগুলো আল আমিন নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে কিনেছিলেন।
এ ছাড়া একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই অসিত কুমার ও তাঁর টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে কাশিয়াডাঙ্গা থানার বালিয়া এলাকা থেকে আসামির ফেলে যাওয়া বস্তা থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে।
পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আরএমপির কাশিয়াডাঙ্গা, রাজপাড়া ও শাহ মখদুম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।