ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিনির্বাপণ এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রত্যক্ষভাবে তত্ত্বাবধান করেছেন। ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপিগণ এবং অন্য কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবাজারে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর তাঁরা অগ্নিনির্বাপণ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি, অগ্নিনির্বাপণ কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তত্ত্বাবধান করেন।
পরে আজ বিকেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আইজিপি বলেন, ‘অগ্নিনির্বাপণ কাজে সব পুলিশ অফিসার, প্রায় দুই হাজার ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব পালন করেছি। ফায়ার সার্ভিস অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী, র্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখানে দায়িত্ব পালন করেছে।’
আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের একটি পাঁচতলা ভবনে আগুন লেগেছে। এখান থেকে আমরা পুলিশ সদস্যদের নিরাপদে বের করে আনতে পেরেছি, কিন্তু মালামাল বের করা সম্ভব হয়নি।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।’
অগ্নিকাণ্ডের পর মার্কেটের ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকানের মালামাল বের করে আনতে পারেন এবং কোনো মালামাল যাতে খোয়া না যায়, সে জন্য পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা করেছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বঙ্গবাজারে আগুন লাগার পরপরই ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের সহযোগিতায় অগ্নিনির্বাপণ কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে ডিএমপির ৫টি ওয়াটার ক্যানন অগ্নিনির্বাপণ কাজে অংশ নেয়। ফায়ার সার্ভিস অগ্নিনির্বাপণে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের রিজার্ভারের প্রায় ২ লাখ লিটার পানি এবং ফায়ার বল ব্যবহার করেছে।