নতুন কয়েকটি গবেষণা নিশ্চিত করেছে, অমিক্রনের কারণে নতুন করে কোভিড শনাক্তে রেকর্ড হলেও রোগের তীব্রতা ও হাসপাতালে ভর্তির হার তেমন বাড়েনি। এটি মহামারি অবসানের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ বলছেন, এটা করোনা মহামারি নিয়ে চিন্তিত না হওয়ার নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ইমিউনোলজিস্ট মনিকা গান্ধী বলেন, ‘আমরা এখন সম্পূর্ণ আলাদা একটি পর্যায়ে রয়েছি। ভাইরাসটি সব সময়ের জন্য আমাদের সঙ্গী হতে যাচ্ছে। তবে আমার আশা, এই ধরনটি (অমিক্রন) আমাদের শরীরে অনেক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে, যা এই মহামারির অবসান ঘটাবে।’ খবর ব্লুমবার্গের।
আগের ধরনগুলোর তুলনায় অমিক্রন তত মারাত্মক না হওয়ার পেছনে কয়েকটি নিয়ামক কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোভিডের তীব্রতা কেমন হবে তার একটি নিয়ামক হচ্ছে, ফুসফুসকে সংক্রমিত করার সক্ষমতা। করোনার সংক্রমণ সাধারণত নাক থেকে শুরু হয়ে গলা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। হালকা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের ওপরের অংশের নিচে আর সংক্রমিত করে না। ভাইরাস আরও নিচে নেমে ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছালেই সাধারণত তীব্র লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
গত সপ্তাহে পাঁচটি পৃথক গবেষণায় দেখা গেছে, ডেল্টাসহ আগের ধরন যতটা সহজে ফুসফুসকে সংক্রমিত করেছে, অমিক্রন ততটা করেনি। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার মনিকা গান্ধী বলেন, তাঁর আশা, উচ্চ সংক্রমণ ক্ষমতা এবং তীব্র অসুস্থতার ঘটনা না ঘটা এটাই ইঙ্গিত দেয় যে এ মহামারি অবসানের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।