সামরিক প্রদর্শনীতে কিম জং-উন। ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং-উন ‘অপ্রতিরোধ্য’ সামরিক বাহিনী গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ‘শত্রুতাপূর্ণ’ নীতির কারণে তাঁকে এই পথে হাঁটতে হচ্ছে বলে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসি নিউজের।

কিম জং-উন আরও বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রসহ তিনি যে অত্যাধুনিক অস্ত্রের অধিকারী হতে চাইছেন, তা কেবলই আত্মরক্ষার জন্য, যুদ্ধ শুরুর জন্য নয়।

রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে প্রতিরক্ষা দপ্তর আয়োজিত সমরাস্ত্রের এক প্রদর্শনীতে গিয়ে কিম এসব কথা বলেছেন। এই প্রদর্শনীতে বেশ কয়েক ধরনের বড় ক্ষেপণাস্ত্রও প্রদর্শিত হয়।

কোরীয় উপদ্বীপের নিভৃতচারী দেশ উত্তর কোরিয়া প্রায়ই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে নিজের পেশিশক্তির জানান দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। দেশটি অনেক বছর ধরেই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে চাইছে। এসব কারণে উত্তর কোরিয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি সব সময়ই নেতিবাচক। দেশটির ওপর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে দুই দফায় সাক্ষাৎ করে ইতিহাসই সৃষ্টি করেন। তবে তাঁর সে প্রচেষ্টা কাজে আসেনি। পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে উত্তর কোরিয়াকে সরিয়ে আনা যায়নি।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো হাইপারসনিক ও যুদ্ধবিমান-বিধ্বংসী। দক্ষিণ কোরিয়াও সম্প্রতি ডুবোজাহাজ থেকে উৎক্ষেপণে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।

পিয়ংইয়ংয়ের ওই প্রদর্শনীতে কিম জং-উন বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া সীমান্তে সেনা উপস্থিতি বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না; বরং আমরা যুদ্ধ প্রতিহত করতে চাই।’ এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছে করেই উত্তেজনা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

কিম জং-উন ওই অভিযোগ করলেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বারবার বলে এসেছেন, তিনি ও তাঁর প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে তার আগে উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি থেকে সরে আসতে হবে। উত্তর কোরিয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।